এবার গ্যাসের অভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন করা যাচ্ছে না ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। রাষ্ট্রায়াত্ব এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আশুগঞ্জে ছয়টি ইউনিট। এর বেশিরভাগই নতুন ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির।
এদিকে আধুনিক প্রযুক্তির হওয়ায় এসব কেন্দ্রের উৎপাদন দক্ষতা যেমন বেশি তেমনিভাবে জ্বালানি খরচও কম। সব মিলিয়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যয় ৬-৭ টাকা। দেশের সবচেয়ে বড় এই পাওয়ার হাবের উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় এক হাজার ছয়শ মেগাওয়াট। তবে এর চারশ মেগাওয়াট উৎপাদনই করা যাচ্ছে না গ্যাসের অভাবে।
দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ২৩০ মিলিয়ন ঘনফুট। যা দিতে পারছে না পেট্রোবাংলা। অন্যদিকে, আর্থিক সংকটেও ভুগছে রাষ্টায়াত্ব এই কোম্পানি। পিডিবি’র কাছে বিদ্যুৎ বিক্রির বিল বাকি চার হাজার কোটি টাকারও বেশি। ফলে এখন ঋণ নিতে হচ্ছে আশুগঞ্জ পাওয়ার কোম্পানিকে।
এ বিষয়ে আশুগঞ্জ পাওয়ার কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইদ একরাম উল্লা বলেন, বর্তমানে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। তবে কেন্দ্রটির সক্ষমতা ১৬০০ মেগাওয়াট। গ্যাসের অভাবে বাকি ৪০০ মেগাওয়াট উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
এদিকে আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, যেহেতু গ্যাস কম পাওয়া যাচ্ছে তাই কম বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। ট্রান্সমিশনেরও কিছু সমস্যা রয়েছে। এসময় গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোরও তাগিদ দেন তিনি।